1. trishalhelpline24@gmail.com : Trishal Helpline :
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৬ অপরাহ্ন

ছাগল নিয়ে হট্টগোলের সময় ব্যাংকের টাকা সরান মতিউর

  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ৭ জুলাই, ২০২৪
  • ৫৩ বার পঠিত

ছাগল নিয়ে হট্টগোলের সময় ব্যাংকের টাকা সরান মতিউর

 

ব্যাংক থেকে তুলে সরিয়ে ফেলা ছাগলকাণ্ডের মতিউরের টাকা খুঁজছে দুর্নীতি দমক কমিশন (দুদক)। ছাগল নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেই তিনি ৮ কেটি টাকা তুলে নেন।

দুদক সূত্র জানায়, অবৈধ সম্পদ এবং ব্যাংক হিসাবের টাকার অনুসন্ধানে রাজস্ব কর্মকর্তা মতিউর রহমানের ব্যাংক হিসাব থেকে টাকা সরানোর তথ্য মিলেছে। ১১৫টি ব্যাংক হিসাব পর্যালোচনা করে দেয়া যায়, সেখানে মাত্র ৪ কোটি টাকা রয়েছে। আর ছাগলকাণ্ড নিয়ে হট্টগোলের মধ্যেই এসব হিসাব থেকে ৮ কেটি টাকা তুলে নেন মতিউর।

 

 

এদিকে অনুসন্ধান শুরুর পর গা ঢাকা দিয়েছেন মতিউর।

 

দুদক আইনজীবী খুরশিদ আলম জানান, তার দেশের বাইরে যাওয়ার কোনো তথ্য নেই। ব্যাংক থেকে টাকা সরানোর বিষয়ে জানতে চাইলে সংস্থাটির আইনজীবী বলছেন, টাকা যেখানেই সরানো হক খুঁজে বের করা অসম্ভব নয়।

 

জানা যায়, মতিউরের বিরুদ্ধে এর আগে চারবার দুর্নীতির অভিযোগ পায় দুদক। কিন্তু প্রতিবারই নানা কৌশলে নানা প্রভাব খাটিয়ে দুর্নীতির অভিযোগে ক্লিন চিট পেয়েছিলেন তিনি।

 

মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে সর্বপ্রথম দুদকে অভিযোগ আসে ২০০৪ সালে। সে সময় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাচারের। অভিযোগ আছে, হুন্ডির মাধ্যমে পাচার করা টাকা প্রবাসী কোনো এক আত্মীয়র মাধ্যমে দেশে ফিরিয়ে এনে তা রেমিট্যান্স বাবদ দেখিয়ে দিয়েছিলেন ট্যাক্স ফাইলে।

 

২০০৮ সালে আবারও দুদকে অভিযোগ জমা পড়ে তার বিরুদ্ধে। এবার অভিযোগ বিলাসবহুল পণ্যের শুল্ক মাফ করিয়ে দেয়ার মাধ্যমে অবৈধভাবে অর্থ উপার্জন। কিন্তু তদন্ত শুরু হতে না হতেই প্রভাবশালীদের চাপে তা চাপা পড়ে যায়, ক্লিন চিট পান মতিউর। এরপর ২০১৩ ও ২০২১ সালে আরও দুবার দুদকে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দেয়া হয়। অভিযোগ ছিল অবৈধ সম্পদ ও সম্পত্তির। কিন্তু কৌশলী মতিউর অবৈধ সম্পদকে পারিবারিক ব্যবসা ও ঋণ দেখিয়ে প্রস্তুত করেন ট্যাক্স ফাইল। ফলে আবারও ক্লিনচিট।

তবে পঞ্চমবারের মতো তদন্তে নেমে দুদক আগের চারবারের প্রতিটি বিষয়ে পর্যালোচনার আশ্বাস দিয়েছে। একইসঙ্গে যে বা যাদের মাধ্যমে বারবার দায়মুক্তি পেয়েছে মতিউর, তা-ও খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার কথাও জানায় দুদক।

 

প্রসঙ্গত: ঈদুল আজহার আগে মতিউর রহমানের ছেলে মুশফিকুর রহমান ইফাতের ১৫ লাখ টাকায় ছাগল কেনার একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এর প্রেক্ষিতেই এনবিআরের এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে।

 

ত্রিশাল হেল্প লাইন/ এ কে

এই ক্যাটাগরির আরও খবর
© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৪ ত্রিশাল হেল্পলাইন